শাহজাদপুরে স্বেচ্ছাশ্রমে এক কিলোমিটার রাস্তা নির্মাণ করলো গ্রামবাসী - আজকের নিউজ টিভি
সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুরের পল্লী অঞ্চল পোরজান ইউনিয়নের কাকুরিয়া উত্তরপাড়া গ্রামে দীর্ঘদিনে ধরে অবহেলিত পড়ে আছে। স্থানীয় এলাকাবাসী, দীর্ঘদিন ধরে জন প্রতিনিধিদের কাছে ধ্বর্ণা দিয়েও রাস্তাটি মেরামত করতে পারেনি। এই গ্রামে প্রায় ২ হাজার লোকের বসবাস রয়েছে। উপায়ন্তর না দেখে নিজেদের ভাগ্য নিজেরাই পরিবর্তনে টুপড়ি ও কোঁদাল হাতে মাঠে নেমেছেন শিশু, কিশোর, যুবক ও বৃদ্ধ সকল বয়সী গ্রামের শতাধিক বাসিন্দা। প্রায় ৭ দিন ধরে গ্রামবাসীর ঐকান্তিক প্রচেষ্টায় নিজেরাই তৈরি করে ফেললেন ১ কিলোমিটার পায়ে হাটার মাটির রাস্তা।
শাহজাদপুর উপজেলার পোরজনা ইউনিয়নের কাকুরিয়া উত্তর পাড়ার গ্রামটিতে প্রায় ২ হাজার মানুষের বসবাস, বাড়ি থেকে বের হয়ে ১ কিঃমিঃ জমির উপর দিয়ে পায়ে হেটে তাদের পাকা সড়কে উঠতে হয়। গ্রামটির অবস্থান হুড়াসাগর শাখা নদীর ওপারে হওয়ায় সরকারের কোন উন্নয়ন কাজের ছোয়া এখানে লাগেনি।
রাস্তা না থাকার কারণে কোমলমতি শিশুরা স্বাভাবিকভাবে বিদ্যালয়ে যেতে পারে না। এ কারণে অনেক শিশুর শিক্ষা জীবন নষ্টের উপক্রম হয়। বিশেষ করে অসুস্থ রোগীদের হাসপাতালে নেওয়ার জন্য মাচায় বেধে ঘারে তুলে নিয়ে যেতে হয়। সামান্য বৃষ্টি হলে পিচ্ছিল ও কাঁদার কারণে হাটার সময় পড়ে গিয়ে জামা কাপড় নষ্ট হয়ে যায়, আবার অনেক সময় গুরুতর আহতও হতে হয়। তারা সরকারের কাছে এই অভিশাপময় জীবন ও বন্দিদশা থেকে পরিত্রাণ চায়।
গ্রামের বয়স্ক বাসিন্দা শুকুর মোল্লা (৭০) বলেন, জন্মের পর থেকে আমরা এই কষ্ট করছি। রাস্তা না থাকার কারণে আমাদের সাথে কেউ আত্মীয়তা করতে চায়না, শিশুরাও স্কুলে যেতে চায়না। এখন আমরা বৃদ্ধরাও এই বয়সে এতো পথ পায়ে হেটে কোথাও যেতে পারিনা। মৃত্যুর আগে যদি আমার উত্তরসূরীদের জন্য একটা পাকা রাস্তা পেতাম তাহলে শান্তি পেতাম। জন প্রতিনিধিরা শুধু নিজের আখের গোছাতে ব্যস্ত। তাই অনেকবার গিয়েও কোন লাভ হয়নি।
এই বিষয়ে পোরজনা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জাহিদুল ইসলাম মুকুল বলেন, এই গ্রামের বাসিন্দারা আমার কাছে এসেছিলো। রাস্তাটি খুবই প্রয়োজন তবে পর্যাপ্ত বরাদ্দ না থাকায় এখন পর্যন্ত রাস্তাটি করা যায়নি।
শাহজাদপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার শাহ মোঃ শামসুজ্জোহা বলেন, গ্রামবাসীরা স্বেচ্ছাশ্রমের মাধ্যমে রাস্তা নির্মাণ করে সরকারের উন্নয়ন কাজে সহযোগিতা করেছে এজন্য তাদের ধন্যবাদ। খুব দ্রুত কাকুরিয়া উত্তর পাড়ার এই মাটির রাস্তাটি পাকা করণের ব্যবস্থা করা হবে।
শাহজাদপুর উপজেলার পোরজনা ইউনিয়নের কাকুরিয়া উত্তর পাড়ার গ্রামটিতে প্রায় ২ হাজার মানুষের বসবাস, বাড়ি থেকে বের হয়ে ১ কিঃমিঃ জমির উপর দিয়ে পায়ে হেটে তাদের পাকা সড়কে উঠতে হয়। গ্রামটির অবস্থান হুড়াসাগর শাখা নদীর ওপারে হওয়ায় সরকারের কোন উন্নয়ন কাজের ছোয়া এখানে লাগেনি।
রাস্তা না থাকার কারণে কোমলমতি শিশুরা স্বাভাবিকভাবে বিদ্যালয়ে যেতে পারে না। এ কারণে অনেক শিশুর শিক্ষা জীবন নষ্টের উপক্রম হয়। বিশেষ করে অসুস্থ রোগীদের হাসপাতালে নেওয়ার জন্য মাচায় বেধে ঘারে তুলে নিয়ে যেতে হয়। সামান্য বৃষ্টি হলে পিচ্ছিল ও কাঁদার কারণে হাটার সময় পড়ে গিয়ে জামা কাপড় নষ্ট হয়ে যায়, আবার অনেক সময় গুরুতর আহতও হতে হয়। তারা সরকারের কাছে এই অভিশাপময় জীবন ও বন্দিদশা থেকে পরিত্রাণ চায়।
গ্রামের বয়স্ক বাসিন্দা শুকুর মোল্লা (৭০) বলেন, জন্মের পর থেকে আমরা এই কষ্ট করছি। রাস্তা না থাকার কারণে আমাদের সাথে কেউ আত্মীয়তা করতে চায়না, শিশুরাও স্কুলে যেতে চায়না। এখন আমরা বৃদ্ধরাও এই বয়সে এতো পথ পায়ে হেটে কোথাও যেতে পারিনা। মৃত্যুর আগে যদি আমার উত্তরসূরীদের জন্য একটা পাকা রাস্তা পেতাম তাহলে শান্তি পেতাম। জন প্রতিনিধিরা শুধু নিজের আখের গোছাতে ব্যস্ত। তাই অনেকবার গিয়েও কোন লাভ হয়নি।
এই বিষয়ে পোরজনা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জাহিদুল ইসলাম মুকুল বলেন, এই গ্রামের বাসিন্দারা আমার কাছে এসেছিলো। রাস্তাটি খুবই প্রয়োজন তবে পর্যাপ্ত বরাদ্দ না থাকায় এখন পর্যন্ত রাস্তাটি করা যায়নি।
শাহজাদপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার শাহ মোঃ শামসুজ্জোহা বলেন, গ্রামবাসীরা স্বেচ্ছাশ্রমের মাধ্যমে রাস্তা নির্মাণ করে সরকারের উন্নয়ন কাজে সহযোগিতা করেছে এজন্য তাদের ধন্যবাদ। খুব দ্রুত কাকুরিয়া উত্তর পাড়ার এই মাটির রাস্তাটি পাকা করণের ব্যবস্থা করা হবে।
No comments